দখিনের খবর ডেস্ক ॥ সরকার লকডাউনের নামে শ্রেণি বৈষ্যম সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এর উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থ-অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। পরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দুঃস্থদের মধ্যে ঈদ সামগ্রি বিতরণ করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে একদিকে চলছে মহামারি, অন্যদিকে লকডাউন। কী ধরনের লকডাউন তাও জানি না। এটা খোলা থাকবে, ওটা খোলা থাকবে না। অর্থাৎ এখানেও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো শ্রেণি-গোষ্ঠি যাতে অসন্তুষ্ট না হয় তাদেরকে ঠিক রাখতে লকডাউনের একরকম নীতি। আর অন্যদের জন্য অন্যরকম। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ কী করবে? লকডাউনে ঘরে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মানা এটা প্রয়োজন। কিন্তু যেসব শ্রমজীবী মানুষের কাজ নেই, ঘরে থাকলে না খেয়ে মরবে, তারা তো ঘরে থাকবে না-এটাই স্বাভাবিক।’ গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে পাহাড়সম টাকা বিদেশে পাঁচার করেছেন। এই টাকাগুলোকে দেশে আনুন। অসহায়-দুঃস্থ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষকে যত দিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে দেশমুক্ত না হয় ততদিন তাদেরকে মাসোহারা অনুদান দিতে হবে, তাদেরকে বাঁচাতে হবে। মানুষ যদি না বাঁচে তাহলে দেশ বাঁচবে কি করে?। সেজন্য বলব, আপনারা যে পরিমান টাকা লুটপাট করেছেন তার যদি ১০ ভাগের এক ভাগ টাকা এই সাধারণ শ্রমজীবী মানুষকে দেন তাতে যদি ৫ বছরেও যদি করোনা মহামারি থাকে তাতেও মানুষ না খেয়ে মরার কোনো সুযোগ নাই।’ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর চিকিৎসা সংকট আছে। অর্থাৎ এই চিকিৎসাটা দেশের অভ্যন্তরের হসপিটালগুলোতে যথেষ্ট নয়। সে কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে উনার (খালেদা জিয়া) উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে দাবি করব, তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। কারণ আপনাদের যা করার দেশ নেত্রীকে করেছেন। আর বেশি কিছু করা আপনাদের উচিত না। মানুষ বুঝেছে তাকে তিলে তিলে মারার জন্য এবং রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার জন্য আপনারাই এই অপকর্মগুলো করেছেন গায়ের জোরে। সুতরাং এই অপকর্ম বাদ দিয়ে দেশ নেত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।’ ঈদ সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও মতস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম।
Leave a Reply